বিষণ্নতায় ভুগছে আপনার সঙ্গী? আর এর প্রভাব পড়ছে আপনাদের দাম্পত্য জীবনে? মানসিক চাপ, পারিবারিক সমস্যা অথবা ব্যক্তিগত কারণে হয়তো আপনার সঙ্গী বিষণ্ন। আর এর ফলে দৈহিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে সে। বিষণ্নতার কারণে একাকিত্ব ভর করে তার ওপর। যে সমস্যা আপনার কাছে কিছুই না, হতে পারে সেই সমস্যাগুলো আপনার সঙ্গীকে বিষণ্ন করে তুলছে। যদি আপনি মনে করেন, আপনার জীবনসঙ্গী বিষণ্নতা অনুভব করছে, তাহলে আপনার প্রথম পদক্ষেপ হবে কেন এই বিষণ্নতা তা খুঁজে বের করা। এর পর চেষ্টা করুন সেই বিষণ্নতা দূর করার।
যুক্তরাষ্ট্রের পেপারডাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এমিলি স্কট-লয়ি বলেন, ‘শুধু ৩৩ শতাংশ বিষণ্নতায় ভোগা মানুষ সাহায্য চান এবং পানও। কিন্তু বিষয়টি হলো, আপনি যদি সত্যি সত্যি বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে চান, আপনি সেটা পাবেন। এবং এর সম্ভাবনা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ। প্রায় সবাই ইচ্ছা থাকলে নিজের বিষণ্নতা দূর করতে পারেন।’
জীবনযাপনবিষয়ক পত্রিকা ‘রিডার্স ডাইজেস্ট’-এর অনলাইন সংস্করণে সঙ্গীর বিষণ্ণতা কীভাবে দূর করবেন, সে বিষয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে একটি নিবন্ধ। কী আছে সেখানে? চলুন একমুহূর্তে সেগুলো পড়ে নিই।
জেনে নিন কীভাবে সঙ্গীর বিষণ্ণতা দূর করবেন-
১. সঙ্গী বিষণ্ণতায় ভুগলে দাম্পত্য সম্পর্কও বিষণ্ণতায় ভোগে। হতাশা, বিরক্তি, রাগ, সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা–এ রকম নানা কারণে হতে পারে বিষণ্ণতা। এই সময়টাতে জীবনসঙ্গীর মানসিক সহায়তা খুবই প্রয়োজন। এককথায় বলতে গেলে, আপনার সঙ্গ জীবনসঙ্গীর বিষণ্ণতা দূর করবে।
২. একাকিত্বের কারণে বিষণ্ণতা হতে পারে। সঙ্গীকে অনুভব করাতে হবে সে একা নয়। তার যেকোনো সমস্যায় সে আপনাকে কাছে পাবে। যখন সে বিষয়টি মন থেকে উপলব্ধি করতে পারবে, তখন ধীরে ধীরে সে বিষণ্ণতা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করবে।
৩. বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে কলহের কারণে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে সঙ্গীকে অনুভব করাতে হবে, সংসারে টুকিটাকি ঝামেলা সবারই হয়ে থাকে। এ বিষয়কে যতটা সম্ভব সহজ করে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সম্পর্কে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু সমস্যা তখনই সৃষ্টি হয়, যখন এই ঝগড়া কেউ ধরে বসে থাকে। এবং সে মনে মনে ভাবে, এই সম্পর্কে জড়িয়ে সে অনেক ভুল করেছে। তখনই তার মধ্যে বিষণ্ণতার সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে আপনাকে ধৈর্যসহকারে সঙ্গীকে বোঝাতে হবে। আপনার কথায় বন্ধুত্ব ও আশ্রয়ের ইঙ্গিত থাকতে হবে।
৪. সঙ্গীকে বারবার আপনাদের জীবনের প্রিয় মুহূর্তগুলোর কথা মনে করিয়ে দিন। এর ফলে সে জীবনের ভালো সময়গুলো অনুভব করতে পারবে এবং আবারও ভালো কিছু মুহূর্তের আকাঙ্ক্ষা তার মনে জাগবে, যা তার বিষণ্ণতাকে দূর করতে সাহায্য করবে।
৫. কখনো ভুল হলে অনেকে সেই ভুলটাকে নিজের সঙ্গে জড়িয়ে একা একা বিষণ্ণতায় ভোগে। আপনাকে তাকে বোঝাতে হবে, ভুলটাতে আপনিও সমানভাবে দোষী। সঙ্গীকে বোঝাতে হবে, নিজের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে অযথা বিষণ্ণতায় ভোগার কোনো মানেই হয় না।
৬. বিষণ্নতার কারণে যদি সঙ্গীকে কোনো চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়, তাহলে আপনি তার সঙ্গে যাবেন। সে যেন অনুভব করে, এ বিষয়ে আপনি তাকে মানসিকভাবে পুরোপুরি সাহায্য করছেন। অনেক সময় প্রিয়জনের সঙ্গ মানুষকে সব সমস্যা মোকাবিলায় সাহস জোগায়। আর অপনার সাহায্যেই সঙ্গীর এই বিষণ্ণতা দূর হওয়া সম্ভব।
৬. অনেকে বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়। আপনার সঙ্গী কতটা বিষণ্ণ, কীভাবে এই বিষণ্ণতা তৈরি হলো এবং কীভাবে এর সমাধান হওয়া সম্ভব–এসব বিষয়ে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিন। এসব বিষয় নিয়ে হেলাফেলা করবেন না। কারণ, একটু অবহেলা আর অসচেতনতায় আপনার সঙ্গীকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। তাই যতটা সম্ভব এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. বিবাহবিচ্ছেদের একটা বড় কারণ হলো বিষণ্ণতা। অর এ ঘটনা যেন না ঘটে. সে দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আপনার অস্তিত্ব এবং সান্ত্বনার দু-একটি কথাই আপনার সঙ্গীকে প্রফুল্ল করে তুলবে। যে পরিস্থিতি তাকে বিষণ্ণ করে তুলছে, তা সমাধানের চেষ্টা করুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে আপনার সঙ্গীও এই বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবে।
যে ৭টি কথায় খুব তাড়াতাড়ি মন ভাল হবে
বিষণ্ণতা এমনভাবে একজন মানুষকে জেঁকে বসে, যে তার আশেপাশে থেকেও তার একাকীত্ব কমাতে পারেন না পরিবার-পরিজনেরা। শারীরিক এবং মানসিক উভয় ধরণের ক্ষতির সম্মুখীন হতে থাকেন এই মানুষটি। কিন্তু কী বললে তার মন ভালো হয়ে যাবে, একটু হলেও কমবে বিষণ্ণতা, তা বুঝে উঠতে পারি না আমরা অনেকেই।
বিষণ্ণতায় ভোগা একজন মানুষ অনেক বেশি কষ্ট পায়, যখন তার আশেপাশের মানুষেরা এটা বুঝতে চায় না বিষণ্ণতা আসলে কত বেশি প্রভাব ফেলছে তার জীবনে। কখনোই বিষণ্ণতাকে এলেবেলে ব্যাপার বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। বুঝতে হবে ব্যাপারটির গুরুত্ব সেই মানুষটির জীবনে কতো বড়। তিনি যখন জানতে পারবে যে আপনি তার সমস্যাটি বুঝতে পারছেন, তখনই তার কষ্টটা ভাগাভাগি করে নিতে পারবেন আপনি। দেখে নিন বিষণ্ণ মানুষটির মন ভালো করে দেবার জন্য কী কী বলতে পারেন আপনি।
১. আমি তোমার পাশেই আছি: কখনো কখনো আপনার কাছে যা খুব ক্ষুদ্র একটি ব্যাপার, বিষণ্ণ মানুষটির জন্য সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। আপনার এই একটি কথায় অনেকটা ভরসা পাবেন তিনি, বুঝতে পারবেন তাকে সাহায্য করার মানুষ আছে কাছাকাছিই। বিষণ্ণতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ছোট ছোট কাজেই তার পাশে থেকে তাকে এভাবে ভরসা জোগাতে পারেন আপনি।
২. তুমি একা নও: ভীষণ অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে একাকী হেঁটে যাবার মতো অনুভূতির জন্ম দিতে পারে বিষণ্ণতা। তিনি ভাবতে থাকেন কেউ তার সঙ্গ দেবে না, একাকী বিষণ্ণতার মাঝেই কেটে যাবে তার জীবন। এই যাত্রায় তার পাশে কেউ আছে, এমন অনুভূতি তার জন্য খুবই জরুরী। তার এই একাকীত্ব দূর করতে পারাটা একটা বড় পাওয়া।
৩. এখানে তোমার কোনো দোষ নেই: অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের মানুষেরা বুঝতে পারেন না যে বিষণ্ণতা এমন একটি জটিলতা যার থেকে ইচ্ছে করলেই বের হয়ে আসা যায় না। তাদের ভুল ধারণার কারণে বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষটি নিজেকেই দোষী মনে করতে থাকেন যা তার মানসিক অবস্থা আরও খারাপ করে তোলে। এমন সময়ে তাকে যদি বোঝানো যায় যে তার আসলে কোনো দোষ নেই, তবে অনেকটা হালকা অনুভব করতে পারেন তিনি। কমে যায় তার কষ্টটা।
৪. আমি তোমার সাথে যাচ্ছি: একা একা কোথাও যাবার ব্যাপারটা আমাদের কাছে সহজ মনে হলেও, বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষটির জন্য ততটা সহজ নয়। হয়তো তিনি যাচ্ছে থেরাপিস্টের কাছে, অথবা ওষুধ কিনতে বা শুধুই বাইরে হাঁটতে যাচ্ছেন, এমন সময়টাতেও আপনার সঙ্গ তাকে দেবে ভরসা। বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি পাওয়া এক দিনে সম্ভব নয়। কিন্তু আপনি তাকে সঙ্গ দিলে তিনি বুঝতে পারবেন যে যত সময়ই লাগুক না কেন আপনাকে পাশে পাচ্ছেন তিনি।
৫. তোমার জন্য কী করতে পারি? তার জন্য কিছু করার প্রস্তাব করতে পারেন আপনি। তার জন্য যদি খুব বড় কিছু করার নাও থাকে, তার পরেও তিনি বুঝবেন তার স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি আপনি মনযোগী। তার জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে এটা খুবই জরুরী।
৬. কী নিয়ে ভাবছো তুমি? বিষণ্ণ মানুষ অনেক সময়েই আত্মহত্যা বা নিজের শারীরিক ক্ষতি করার কথা চিন্তা করে থাকেন। এসব চিন্তার কথা যে তারা বলেন না তা নয়, বরং অনেক সময় কেউ জিজ্ঞেস করেন না বলেই তা বলতে পারেন না। তার এই কথাগুলো আপনি শুনতে পারেন। তাকে বোঝাতে পারেন যে বিষণ্ণতার কারণে এসব চিন্তা মনে আসাটা স্বাভাবিক, কিন্তু তাই বলে নিজের ক্ষতি করাটা মোটেই উচিৎ হবে না।
৭. নীরবতা: সবসময়ে যে কথার মাধ্যমে তাকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে হবে এমনটা নয়। অনেক সময়ে একজন মানুষের নীরব উপস্থিতিটাই অনেক প্রশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিষণ্ণ একজন মানুষের কাছে।
শিখে নিন ৬টি কৌশল
প্রিয় মানুষের মন খারাপ আপনার মনকেও খারাপ করে তোলে। তার মন ভাল করার জন্য কত চেষ্টাই না করেন। একজন মানুষের যখন মন খারাপ থাকে তখন নেতিবাচক চিন্তা, হতাশা তাকে ঘিরে ধরে। এইসময় তাকে এই নেতিবাচকতা থেকে বের করে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব। চলুন জেনে নেয়া যাক প্রিয় মানুষটিকে কিভাবে খানিকটা খুশি দেয় যায়।
১. ইতিবাচক কথা: যখন কারো মন খারাপ থাকে সবরকম নেতিবাচক চিন্তা,হতাশা ঘিরে ধরে। এইসময় আপনার ইতিবাচক কথা, উৎসাহ এবং আপনার সঙ্গ তাকে রিল্যাক্স করে তোলে। আপনার সঙ্গ তাকে ভরসা দিবে যে আপনি তার দুঃসময়েও তার পাশে থাকবেন। তাকে ছেড়ে যাবেন না।
২. মেসেজ করুন: মন খারাপের সময় আপনার সঙ্গী একা থাকতে চাইতে পারে। কিন্তু একা থাকলে সে আরও বেশি হতাশ হয়ে পরবে। তাই তাকে একা থাকতে দিবেন না। তাকে মেসেজ করুন। তাকে বলুন আপনি তার সাথে সবসময় সব অবস্থাতে আছেন এবং থাকবেন।
৩. হেড ম্যাসাজ: যেকোন স্ট্রেস দূর করতে হেড ম্যাসাজের তুলনা নেই। গবেষণায় দেখা গেছে ম্যাসাজ রক্ত চলাচল সচল করে মন রিলাক্স করে দেয়। আপনার প্রিয় মানুষটিকে হেড ম্যাসাজ করুন, এটি তাকে অনেকটা রিলাক্স করে তুলবে।
৪. পছন্দের কোন মুভি দেখা: আপনার প্রিয় মানুষটির পছন্দের কোন মুভি দেখুন এক সাথে। সাময়িকভাবে হলেও এটি তার হতাশা, মন খারাপ দূর করে দিবে।
৫. প্রশংসা করুন: তার প্রশংসা করুন। তার ভুলকে সহজভাবে দেখুন। তাকে বলুন দুঃসময় সবার জীবনে আসে, তাই বলে হতাশ হলে হবে না। দুঃখ, কষ্টের পর আনন্দ আসবে এটিই প্রকৃতির নিয়ম। তাই বলে হতাশ হওয়া চলবে না।
৬. উপহার দিন: উপহার সব মানুষই পছন্দ করে। আপনার প্রিয় মানুষটিও এর ব্যতিক্রম নয়। ভাল হয় তার পছন্দের কিছু উপহার দিলে। এটি তার মনকে খুশি করে দিবে।
সঙ্গীর জন্য ৫টি খাবার
খুব সহজ ও জাদুকরী একটি উপায় আছে আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দেয়ার জন্য। আর তা হলো তাকে খাইয়ে দিন বিশেষ কিছু খাবার। বিশেষ এই খাবার গুলো নিমিষেই মনকে চাঙ্গা করে দেয় এবং সৃষ্টি করে ভালোলাগার অনুভূতি। তবে কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে।
চকলেট : প্রিয় মানুষটির মন খারাপ? তাকে খাইয়ে দিন অনেক গুলো চকলেট। নিমিষেই ভালো হয়ে যাবে তার মন। চকলেট শরীরে এনডরফিন বৃদ্ধি করে যা মস্তিষ্কে ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে। তাই প্রিয় মানুষটির মন ভালো করতে চকলেট এর কোনো বিকল্প নেই।
আইসক্রিম : আইসক্রিম খেলে নিশ্চয়ই মন ভালো হয়ে যায়? আপনার সঙ্গীর মন খুব খারাপ থাকলে তাকে খেতে দিন মজার কোনো আইসক্রিম। কারণ আইসক্রিম শরীরে নিওট্রোট্রান্সমিটার উৎপন্ন করে। নিওট্রোট্রান্সমিটার মস্তিষ্কে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং বিষণ্ণতা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও দুধের এমিনো এসিড শরীরে সেরোটোনিন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা মনকে শান্ত করে এবং মন ভালো করে দেয় খুব অল্প সময়েই।
পনির : যখন আপনার সঙ্গীর মন খারাপ থাকে তখন তাকে খেতে দিন পনির ও পনির সমৃদ্ধ খাবার। পনিরের অসাধারণ স্বাদ ও গন্ধ নিমিষেই মন ভালো করে দিতে ভূমিকা রাখে। পনিরে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম যা শরীরে নিওট্রোট্রান্সমিটার উৎপন্ন করে ভালো লাগার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
পালং শাক : পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার। এই তিনটি উপাদানই মন ভালো করতে সহায়ক খাবার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাদের খাদ্য তালিকায় ফলিক এসিডের পরিমাণ কম থাকে তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি বিষন্নতায় ভোগে। তাই আপনার সঙ্গীর খাবার তালিকায় রাখুন পালং শাক।
মধু : মধুতে আছে কোয়ারসেটিন ও কাইম্পফেরল যা মস্তিস্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং বিষন্নতা কমিয়ে দিতে ভূমিকা রাখে। মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা রক্তের চিনির পরিমানকে ঠিক রাখে এবং দূর্বলতা কমিয়ে শরীর ও মনকে ফুরফুরে রাখতে সহায়তা করে। তাই আপনার সঙ্গীর মন খারাপ থাকলে তার খাবারে যোগ করুন সামান্য মধু।
কমেন্টস করুন