দুশ্চিন্তা নেই এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। দুশ্চিন্তায় অনেক বড় ধরনের ঘটনাও ঘটে। আজকের দুনিয়ায় টিকে থাকতে প্রতিনিয়ত হাজারো সমস্যার মোকাবেলা করতে হয় সবাইকে। তাই বাড়ছে মানুষের মানসিক চাপ। এই মানসিক চাপে পড়ে একেকজন করে ফেলছেন একেকরকম আচরণ। কীভাবে স্ট্রেস কাটিয়ে উঠবেন জীবন থেকে জেনে নিন তার ৬ উপায়।




১. দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ভাবনাগুলো মোকাবিলা করুন
যখন চিন্তাগুলো আসতে শুরু করবে তখনই তার ধরন বুঝতে হবে। যখন দেখবেন আপনি নিজেই আপনার কোনো ভাবনায় হারিয়ে যাচ্ছেন, তখন নিজেকেই প্রশ্ন করুন, ‘আসলেই কি এমন ঘটতে পারে?’ অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনা বাদ দিয়ে এসব দুর্ভাবনা না থাকলে জীবন কেমন হবে তা কল্পনা করুন।




২. মেডিটেশন আর শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ
দুশ্চিন্তা এড়াতে এটি সবচেয়ে ব্যবহৃত উপদেশ, এবং সবচেয়ে কার্যকর। যদি আপনার নিয়মিত এনজাইটি এটাক হয়, তাহলে মেডিটেশনের ক্লাসের ব্যাপারে বিবেচনা করতে পারেন। এই চর্চা আপনাকে চাপ কমাতে সাহায্য করবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করবে। যদি এনজাইটি এটাক নিয়মিত না হয়ে থাকে আর আপনি মেডিটেশনের ব্যাপারে আগ্রহ না পান সেক্ষেত্রে, শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণের চর্চা করে দেখতে পারেন। এটি ঘুমের আগে চাপ শিথিল করার জন্য খুবই কার্যকর, কিন্তু যে কোন সময়ে আপনি যদি মানসিক চাপ অনুভব করেন এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার দেহ এই জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে ধন্যবাদ দিবে।




৩. ফিল-গুড ব্রেন কেমিক্যাল এর নিঃসরণ
যখন আপনি ব্যায়াম করেন, আপনার দেহে এন্ড্রোফিন আর সেরিটোনিন নিঃসরিত হয়, এই দুই এনজাইম আপনার মস্তিষ্কে আনন্দ আর কল্যাণের ভাবনা তৈরি করে। এরা আপনার সম্পূর্ণ দেহ গরম করে দেয় এবং আপনার মাংসপেশির টান সহজ করে দেয়। শারীরিক পরিশ্রমও একইভাবে এই দুই এনজাইম তৈরি করে।




৪. এই প্রাকৃতিক উপায়গুলি চেষ্টা করে দেখুন
ভেষজ প্রতিকারগুলি, বিশেষ করে ল্যাভেন্ডার, ক্যামোমাইল, ভ্যালেরিয়ান শেকড়ের ভেষজ চা আপনার উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কমিয়ে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করবে।




৫. ক্যাফেইন পরিহার করুন
দেখা গেছে ক্যাফেইন উৎকণ্ঠা বাড়াতে এবং যাদের প্যানিক ডিজঅর্ডার আছে তাদের প্যানিক এটাকের মাত্রা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ক্যাফেইন হচ্ছে সেই উত্তেজক যা স্নায়বিক দুর্বলতা, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন এবং উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করার পূর্বে এই বিষয়গুলি গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখবেন আশা করি।




৬. একটা তালিকা করুন
আপনার মন কি বলছে এবং আপনি এটি সম্পর্কে কি করছেন তা লিখুন। এই লেখার চর্চা যুক্তিসংগত সমস্যা এবং তার মাত্রা খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। অন্য কথায়, এই চর্চা দুশ্চিন্তাগুলিকে আপনার মাথার ভেতর আর বাড়তে দিবে না। আপনি আপনার লক্ষ্যগুলি এবং কীভাবে তা অর্জন করবেন তাও লিখে ফেলতে পারেন।
কমেন্টস করুন